মোঃ ওমর ফারুক, শরীয়তপুর প্রতিনিধি:- শরীয়তপুরে পুলিশ সদস্যদের কথা চিন্তা করে চমৎকার এক চমৎকার উদ্যোগ গ্রহন করেছে জেলা পুলিশ সুপার এস.এম. আশরাফুজ্জামান। সত্যি তার এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সে মাহে রমজান উপলক্ষে পুলিশ অফিসার-ফোর্সদের রমজান মাসের ইফতার, রাতের খাবার ও সেহেরীর খাবারের মেন্যুতে আমূল পরিবর্তন এনেছেন পুলিশ সুপার এস. এম. আশরাফুজ্জামান। পুলিশ লাইন্স মেসে অফিসার-ফোর্সদের রমজান মাসের খাবারের জন্য ৩,০০০ (তিন হাজার) কেজি এরফান সুপার মিনিকেট চাল ক্রয় করেন পুলিশ সুপার এস. এম. আশরাফুজ্জামান। যাতে করে পুলিশ সদস্যরের রমজান মাসে খাবারের কোন সমস্যা না হয়, সে কারনেই এই চিকন চাল ক্রয় করেন এবং নিজ তহবিল হতে সকল পুলিশ সদস্যদের রমজান মাসের জন্য প্রতিদিন ইফতারের মেন্যুতে দেন প্রত্যেককে ১টি করে ডিম।
এছাড়াও মেসের খাবারের মেনুতে পূর্বেও তুলনায় এনেছেন অনেক পরিবর্তন। খাবার যদি ভালো মানের হয় তবে ভালো খাবার খেয়ে পুলিশ সদস্যরা সুস্থ থাকবে এবং সুস্থ শরীরে রোজা রাখতে পারবে এবং দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে দেশের জন্য কাজ করতে পারবে। এ সুন্দর চিন্তা হৃদয়ে ধারণ করেই তিনি রমজান মাসের অফিসার-ফোর্সদের জন্যখাবারের মেনুতে চিকন চালের ভাত, ভালো মানের ডাল, শাক-শবজি, ডিম, দুধ, খেজুর, মাল্টা, মাছ, মাংস সহ আরো বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করেন।
রমজান মাসে পুলিশ লাইন্স মেসের খাবারের মেন্যুতে রকমারি খাবারের বাহার। ইফতারের সময়ে রয়েছে মুড়ি, ছোলা, খেজুর, মাল্টা, জিলাপী, পেয়াজু ও ডিম। রাতের খাবারের তালিকায় আছে ভাত, বড়মাছ, ছোটমাছ, ডাল, মুড়িঘন্ট ও সবজি।সেহেরী সময়ে রাখা হয়েছে ভাত, গরুর মাংস, মুরগির মাংশ, আলুভর্তা, ডালভর্তা, পেঁপেভর্তা, সবজি, বড়মাছ, ছোটমাছ, দুধ ও কলা।
পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত পরিশ্রম করে দিনরাত্রি করোনা মোকাবিলাসহ অন্যান্য ডিউটি করছে। পাশাপাশি রোজা রাখছে, এ সময় তাদের ভালো মানের খাবার খাওয়া দরকার। যাতে করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর খাবার যদি ভালো মানের হয় তবে ভালো খাবার খেয়ে ফোর্স সুস্থ থাকবে।
এছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা জেলার প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে উন্নত মানের পিপিই, একটি চশমা, ৩০ পিস জিংক ট্যাবলেট ও ৩০ পিস সিভিট যা পুলিশ সদস্যদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। পর্যাপ্ত পরিমানে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লোব্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান দিয়েছি। আর সকল পুলিশ সদস্যদের সুস্থ রাখতে আমাদের এই সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।